পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আল-হাদীদ

বাংলা

সূরা আল-হাদীদ - Verses Number 96
إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ ( 1 ) আল-হাদীদ - Ayaa 1
যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,
لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ ( 2 ) আল-হাদীদ - Ayaa 2
যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।
خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ ( 3 ) আল-হাদীদ - Ayaa 3
এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا ( 4 ) আল-হাদীদ - Ayaa 4
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا ( 5 ) আল-হাদীদ - Ayaa 5
এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।
فَكَانَتْ هَبَاءً مُّنبَثًّا ( 6 ) আল-হাদীদ - Ayaa 6
অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।
وَكُنتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً ( 7 ) আল-হাদীদ - Ayaa 7
এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ ( 8 ) আল-হাদীদ - Ayaa 8
যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।
وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ ( 9 ) আল-হাদীদ - Ayaa 9
এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।
وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ ( 10 ) আল-হাদীদ - Ayaa 10
অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।
أُولَٰئِكَ الْمُقَرَّبُونَ ( 11 ) আল-হাদীদ - Ayaa 11
তারাই নৈকট্যশীল,
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ ( 12 ) আল-হাদীদ - Ayaa 12
অবদানের উদ্যানসমূহে,
ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ ( 13 ) আল-হাদীদ - Ayaa 13
তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ ( 14 ) আল-হাদীদ - Ayaa 14
এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।
عَلَىٰ سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ ( 15 ) আল-হাদীদ - Ayaa 15
স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।
مُّتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ ( 16 ) আল-হাদীদ - Ayaa 16
তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।
يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ ( 17 ) আল-হাদীদ - Ayaa 17
তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।
بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ ( 18 ) আল-হাদীদ - Ayaa 18
পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,
لَّا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ ( 19 ) আল-হাদীদ - Ayaa 19
যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ ( 20 ) আল-হাদীদ - Ayaa 20
আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,
وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ ( 21 ) আল-হাদীদ - Ayaa 21
এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।
وَحُورٌ عِينٌ ( 22 ) আল-হাদীদ - Ayaa 22
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,
كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ ( 23 ) আল-হাদীদ - Ayaa 23
আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,
جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ( 24 ) আল-হাদীদ - Ayaa 24
তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا ( 25 ) আল-হাদীদ - Ayaa 25
তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।
إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا ( 26 ) আল-হাদীদ - Ayaa 26
কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ ( 27 ) আল-হাদীদ - Ayaa 27
যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।
فِي سِدْرٍ مَّخْضُودٍ ( 28 ) আল-হাদীদ - Ayaa 28
তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।
وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ ( 29 ) আল-হাদীদ - Ayaa 29
এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ ( 30 ) আল-হাদীদ - Ayaa 30
এবং দীর্ঘ ছায়ায়।
وَمَاءٍ مَّسْكُوبٍ ( 31 ) আল-হাদীদ - Ayaa 31
এবং প্রবাহিত পানিতে,
وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ ( 32 ) আল-হাদীদ - Ayaa 32
ও প্রচুর ফল-মূলে,
لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ ( 33 ) আল-হাদীদ - Ayaa 33
যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,
وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ ( 34 ) আল-হাদীদ - Ayaa 34
আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاءً ( 35 ) আল-হাদীদ - Ayaa 35
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا ( 36 ) আল-হাদীদ - Ayaa 36
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
عُرُبًا أَتْرَابًا ( 37 ) আল-হাদীদ - Ayaa 37
কামিনী, সমবয়স্কা।
لِّأَصْحَابِ الْيَمِينِ ( 38 ) আল-হাদীদ - Ayaa 38
ডান দিকের লোকদের জন্যে।
ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ ( 39 ) আল-হাদীদ - Ayaa 39
তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
وَثُلَّةٌ مِّنَ الْآخِرِينَ ( 40 ) আল-হাদীদ - Ayaa 40
এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ ( 41 ) আল-হাদীদ - Ayaa 41
বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।
فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ ( 42 ) আল-হাদীদ - Ayaa 42
তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,
وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ ( 43 ) আল-হাদীদ - Ayaa 43
এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।
لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ ( 44 ) আল-হাদীদ - Ayaa 44
যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَٰلِكَ مُتْرَفِينَ ( 45 ) আল-হাদীদ - Ayaa 45
তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।
وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنثِ الْعَظِيمِ ( 46 ) আল-হাদীদ - Ayaa 46
তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।
وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ ( 47 ) আল-হাদীদ - Ayaa 47
তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?
أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ ( 48 ) আল-হাদীদ - Ayaa 48
এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!
قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ ( 49 ) আল-হাদীদ - Ayaa 49
বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
لَمَجْمُوعُونَ إِلَىٰ مِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ ( 50 ) আল-হাদীদ - Ayaa 50
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।
ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ ( 51 ) আল-হাদীদ - Ayaa 51
অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।
لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ ( 52 ) আল-হাদীদ - Ayaa 52
তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,
فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ ( 53 ) আল-হাদীদ - Ayaa 53
অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,
فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ ( 54 ) আল-হাদীদ - Ayaa 54
অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।
فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ ( 55 ) আল-হাদীদ - Ayaa 55
পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।
هَٰذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ ( 56 ) আল-হাদীদ - Ayaa 56
কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ ( 57 ) আল-হাদীদ - Ayaa 57
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ ( 58 ) আল-হাদীদ - Ayaa 58
তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।
أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ ( 59 ) আল-হাদীদ - Ayaa 59
তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ ( 60 ) আল-হাদীদ - Ayaa 60
আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।
عَلَىٰ أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ ( 61 ) আল-হাদীদ - Ayaa 61
এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَىٰ فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ ( 62 ) আল-হাদীদ - Ayaa 62
তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ ( 63 ) আল-হাদীদ - Ayaa 63
তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ ( 64 ) আল-হাদীদ - Ayaa 64
তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ ( 65 ) আল-হাদীদ - Ayaa 65
আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
إِنَّا لَمُغْرَمُونَ ( 66 ) আল-হাদীদ - Ayaa 66
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ ( 67 ) আল-হাদীদ - Ayaa 67
বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ ( 68 ) আল-হাদীদ - Ayaa 68
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ ( 69 ) আল-হাদীদ - Ayaa 69
তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ ( 70 ) আল-হাদীদ - Ayaa 70
আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ ( 71 ) আল-হাদীদ - Ayaa 71
তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِئُونَ ( 72 ) আল-হাদীদ - Ayaa 72
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ ( 73 ) আল-হাদীদ - Ayaa 73
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ ( 74 ) আল-হাদীদ - Ayaa 74
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ ( 75 ) আল-হাদীদ - Ayaa 75
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ ( 76 ) আল-হাদীদ - Ayaa 76
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ ( 77 ) আল-হাদীদ - Ayaa 77
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,
فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ ( 78 ) আল-হাদীদ - Ayaa 78
যা আছে এক গোপন কিতাবে,
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ ( 79 ) আল-হাদীদ - Ayaa 79
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ ( 80 ) আল-হাদীদ - Ayaa 80
এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
أَفَبِهَٰذَا الْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ ( 81 ) আল-হাদীদ - Ayaa 81
তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?
وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ ( 82 ) আল-হাদীদ - Ayaa 82
এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?
فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ ( 83 ) আল-হাদীদ - Ayaa 83
অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।
وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ ( 84 ) আল-হাদীদ - Ayaa 84
এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,
وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَٰكِن لَّا تُبْصِرُونَ ( 85 ) আল-হাদীদ - Ayaa 85
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
فَلَوْلَا إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ ( 86 ) আল-হাদীদ - Ayaa 86
যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,
تَرْجِعُونَهَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ ( 87 ) আল-হাদীদ - Ayaa 87
তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
فَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ ( 88 ) আল-হাদীদ - Ayaa 88
যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;
فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ ( 89 ) আল-হাদীদ - Ayaa 89
তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।
وَأَمَّا إِن كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ ( 90 ) আল-হাদীদ - Ayaa 90
আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,
فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ ( 91 ) আল-হাদীদ - Ayaa 91
তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।
وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ ( 92 ) আল-হাদীদ - Ayaa 92
আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,
فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ ( 93 ) আল-হাদীদ - Ayaa 93
তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।
وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ ( 94 ) আল-হাদীদ - Ayaa 94
এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ ( 95 ) আল-হাদীদ - Ayaa 95
এটা ধ্রুব সত্য।
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ ( 96 ) আল-হাদীদ - Ayaa 96
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

বই

  • সংক্ষিপ্ত হজ, উমরা ও যিয়ারত গাইডএ বইয়ে হজ, উমরা ও যিয়ারতের উপর সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

    সংকলন : আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান - মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক

    সম্পাদক : নুমান বিন আবুল বাশার

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/180783

    Download :সংক্ষিপ্ত হজ, উমরা ও যিয়ারত গাইডসংক্ষিপ্ত হজ, উমরা ও যিয়ারত গাইড

  • সুন্নতের প্রতি যত্নবান হওয়ার আদেশ ও আদববক্ষ্যমাণ গ্রন্থে সুন্নতের অনুসরণ-বাস্তবায়ন ও সুন্নতের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ সম্বলিত আয়াত ও হাদীস সন্নিবেশিত করা হয়েছে। প্রতিটি আয়াত ও হাদীসে উল্লিখিত আহকাম, মাসায়েল ও আদবের প্রতিও অত্যন্ত চমৎকারভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।

    সংকলন : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

    সম্পাদক : চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/321527

    Download :সুন্নতের প্রতি যত্নবান হওয়ার আদেশ ও আদবসুন্নতের প্রতি যত্নবান হওয়ার আদেশ ও আদব

  • সূরা আল-ফাতিহার তাফসীর-

    সংকলন : মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল ওয়াহহাব

    অনুবাদক : মুহাম্মাদ রকীবুদ্দিন আহমাদ হুসাইন

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/1101

    Download :সূরা আল-ফাতিহার তাফসীর

  • সন্তানের লালন-পালন ও তালীম তরবিয়ত : ইসলামিক দৃষ্টিকোণইসলামী আদর্শের আলোকে শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া পর্যন্ত কীভাবে আপনি আপনার সন্তানদেরকে লালন-পালনে সক্ষম হবেন, সন্তানের আচার-আচরণ, অভ্যাস-চরিত্র যথার্থরূপে গড়ে তোলার প্রয়াস পাবেন, কীভাবে আপনার সন্তানদেরকে মানুষের মতো মানুষ করে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, বক্ষ্যমাণ বইটি, এ ক্ষেত্রে , আপনাকে পথ দেখাবে খুবই নান্দনিক কায়দায়।

    সংকলন : মুহাম্মদ বিন শাকের শরীফ

    সম্পাদক : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক - আলী হাসান তৈয়ব

    অনুবাদক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/207208

    Download :সন্তানের লালন-পালন ও তালীম তরবিয়ত : ইসলামিক দৃষ্টিকোণসন্তানের লালন-পালন ও তালীম তরবিয়ত : ইসলামিক দৃষ্টিকোণ

  • রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহআজ আমাদের কারো নিকট অস্পষ্ট নেই যে, মুসলিম সমাজে জাল ও দুর্বল হাদিসের ছড়াছড়ি। অনেকে এর ভয়বহতা না জেনে এসব হাদিস গ্রহণ করেন এবং তা প্রচার করেন। অথচ তারা জানেন না জাল ও দুর্বল হাদিসগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিথ্যা রচনা ও অপবাদ। যার সম্পর্কে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন: “আমার উপর যে এমন কথা বলল, যা আমি বলেনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নেয়”। [বুখারি] মুসলিম উম্মাহর সংশোধন ও সুন্নত সংরক্ষণের জন্য এখানে রমযান সংক্রান্ত জাল ও দুর্বল হাদিসগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

    সংকলন : সানাউল্লাহ নজির আহমদ

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/357178

    Download :রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহরমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ

ভাষা

Choose সূরা

বই

Choose tafseer

Participate

Bookmark and Share